শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৫ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
টেকনাফ ছাড়াও এবার নতুন করে উখিয়া-নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ভেসে আসছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ চকরিয়ায় জেলা পরিষদের জমিতে নির্মিত আওয়ামী লীগের অফিস উচ্ছেদ সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিটি গঠণ সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে কক্সবাজার শহরে এসে সেন্টমার্টিন দ্বীপবাসির সড়ক অবরোধ পাহাড়ী আস্তানা থেকে মালয়েশিয়া পাচারকালে শিশুসহ ৩১ জন উদ্ধার, দুই দালাল আটক সাবের মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর পিএস ফিরোজ কক্সবাজারে গ্রেপ্তার মিয়ানমারের বাঘগুনা খালের পাশে রয়েছে নিমার্ণ সামগ্রী ও দুইটি ট্রলার, মাঝি-মাল্লা সহ ১১ জনের হদিস নেই মিয়ানমারের উপজাতি সম্প্রদায়ের ৬৫ নাগরিকের অনুপ্রবেশ চকরিয়ায় কিশোরকে ছুরিকাঘাত : আটক ৪ চকরিয়ায় ফেরিওয়ালার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

জেলের জালে আটকা পড়ল ৩৭ কেজির পোপা মাছ

টেকনাফ প্রতিনিধি : টেকনাফ উপজেলার শাহপরীর দ্বীপ পশ্চিমপাড়া সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের স্থানীয় জেলের জালে আটকা পড়েছে ৩৬কেজি ৭০০ গ্রাম ওজনের একটি রুপালি পোপা মাছ। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় এ মাছটি “কালা পোপা” নামে পরিচিত। মাছটি লম্বা প্রায় সাড়ে তিন ফুট। এ মাছটি ২ লাখ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।

মাছটিতে এমন কী রয়েছে, যা এতো দামে বিক্রিয়ের জন্য দাম হাঁকাচ্ছেন। ক্রেতা-বিক্রেতা কেউই এ ব্যাপারে পরিষ্কার ধারণা দিতে না পারলেও সবাই বলছেন, মাছটির ফুসফুস বা ফদানার কারণে এতো দাম।

মাছ ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ মাছটি হংকংয়ে রপ্তানি হবে। আর মাছটির ফুসফুস দিয়ে বিশেষ ধরনের স্যুপ ও এয়ার ব্লাডার দিয়ে বিশেষ ধরনের অপারেশনাল সুতা তৈরি হয়। তাই মাছটির এতো দাম।

সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে টেকনাফ উপকূলে বঙ্গোপসাগরের ১৭ বাইন নামক এলাকায় মাছটি জালে আটকা ধরা পড়েছে।

গত শনিবার সকালে ১০জন মাঝি-মাল্লা নিয়ে উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ মিস্ত্রীপাড়ার মৃত কাদির হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ শাহ আলমের মালিকানাধীন ট্রলারটি বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যান । এসময় মাছ ধরার জন্য লাক্ষা জাল সাগরের ফেলা হয় । প্রথম দফায় ইলিশ, রূপচান্দা ও লাল কোরালসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেড় লক্ষাধিক টাকার মাছ পাওয়া যায়। দ্বিতীয় দফায় আবারও জাল ফেলা হলে কয়েকটি ইলিশ ও রূপচাঁদা সঙ্গে কালা পোপা মাছটি জালে আটকা পড়ে । সঙ্গে সঙ্গে জেলেরা ট্রলার থেকে মালিক (মোহাম্মদ শাহ আলম) কে অবহিত করলে টেকনাফে চলে আসার জন্য বলা হয়।
ওই ট্রলারের মাঝি মোহাম্মদ শফিক বলেন, সাগরের ফেলানো জালটি বারবার টান দিচ্ছিলেন। মনের মধ্যে ধারণা হলো বড় কিছু লেগেছে। তাঁরা তখন জাল টেনে কাছে আনতে বড় মাছ দেখে জেলেরা আনন্দে দিশেহারা হয়ে পড়ে। এই মুহূর্তে কী করব কিছু বুঝে উঠতে পারছিলাম না। পরে নৌকা নিয়ে ফেরত আসি তীরে। তীরে আসার সঙ্গে সঙ্গে জালে বড় মাছ ধরা পড়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে টেকনাফে কায়ুকখালীয়া মৎস্য ঘাটে এসে পৌঁছালে উৎসুক জনতা মাছটি দেখতে ভিড় জমায়। ২ লাখ ৮০ হাজার টাকায় কিনে নিয়েছেন সাবরাং রুহুল্লাহ ডেপার আজিজুল্লাহ ছেলে মাছ ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম। বর্তমানের মাছটি তার ফিশারীজে রয়েছে।

মাছ ব্যবসায়ী ও আড়ৎদার নুরুল ইসলাম বলেন, এ মাছের ফুসফুসের দাম অনেক বেশি হওয়ায় চট্টগ্রামে নেওয়া যায় কি না, সেখানকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।

মুঠোফোনে নুরুল ইসলাম বলেন, তিনি ঝুঁকি নিয়ে মাছটি কিনতে চাইলেও মাছের মালিক এখন পর্যন্ত বেচা কেনা হয়নি। মাছটি কেটে বিক্রি করলে প্রতি কেজির দাম ৭০০ টাকার বেশি পাওয়া যাবে না। সেই হিসেবে ২৫ হাজার ৫০০টাকা পাওয়া যাবে। তবে এরমধ্যে ফদানা বা ফুসফুসটির দাম অনেক চড়া। চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী পি কে দাশের কাছে তিনি মাছটি বিক্রি করবেন। তিনি বিদেশে মাছ ও মাছের ফদানা রপ্তানি করে থাকেন। যদি ফদানা বা ফুসফুসটির ওজন ৯০০ গ্রামের উর্ধ্বে হলে এটি বিক্রি করে ভালো লাভ হবে। আর ওজন কম হলে লোকসান গুনতে হবে।

টেকনাফ উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে ৩৭ কেজি ওজনের বড় পোপা মাছটি ধরা পড়ার খবর শুনেছেন। সাধারণত এত বড় পোয়া মাছ সহজে ধরা পড়ে না। পোয়া মাছের বায়ুতলি বা এয়ার ব্লাডারের কারণে মাছটির অত্যধিক মূল্য। এয়ার ব্লাডার দিয়ে বিশেষ ধরনের অপারেশনাল সুতা তৈরি হয় বলে মাছটির এতো দাম বলে তিনি জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888